সহসা আকাশে রোদ খেলে লুকোচুরি,
উইন্ডস্ক্রীনে লেগে শহরের ব্যাস্ততা,
অবকাশ পেয়ে ভিজেছে ট্রামের সারি,
থেমে গেছে ঐ দূরে যাওয়া রাস্তাটা ।
অফিস ফেরতা হাঁটু জলে জামা-জুতো,
পকেট হাতড়ে বিস্তর ভেজা টাকা,
সন্ধ্যের আগে বানিয়ে নানান ছুতো,
ভিজে গেছে কোনো ছেঁড়া ঘুড়ি পেটকাটা।
ওখানে বাড়িতে, মাস্টার ঘাড় গুঁজে,
ইসস্টুডেন্টের মন যায় জানলায়,
বৃষ্টি আসবে, ছেলেবেলা যায় বুঝে,
অঙ্ক খাতায় বৃষ্টিরা অসহায় ।
স্টেশনের ভিড়ে চায়ের কাপেতে ধোঁয়া,
ব্যাগের ভিতর উঁকি দেয় সভ্যতা,
ইউরেকা বলে আমিও চেঁচাতে পারি,
জানালার পাশে যদি পাই জায়গাটা ।
শহর ভিজিয়ে বৃষ্টিরা দেয় ছুট,
এঁদো বস্তিতে বসে থাকে চাতকেরা,
ওদের বরাদ্দ ভেজা পাউরুটি বিস্কুট,
ল্যাজ নেড়ে গায়ে রঙ মাখে বৃষ্টিরা।
এ কোন শ্রাবণ যাদবপুরে নামে,
থেমে যায় ঐ শহরের রাস্তাটা,
এ কোন শ্রাবণ শিরদাঁড়া বেয়ে নামে,
কলরবে আজ পা মেলায় বৃষ্টিটা ।
বৃষ্টি নামে ভালোলাগা জানলায়,
ভিজে যায় যত ভুখা শিশুদের দল,
ওদের ঘরেতে মেঘেরাই দেয় ছাদ,
ছেড়া প্লাস্টিক হয়ে ওঠে সম্বল।
ভিজে যায় ওরা ফি বছরে বার বার,
আবার শুকিয়ে ত্রান পেয়ে খুব হাসে,
ছেড়া প্যান্ট আর খালিগায়ে কারবার,
তবু,ভোটের বাক্সে ওদের বৃষ্টি আসে ।
এবার বৃষ্টি নামবে আবার জোরে,
ভিজবে আবার শহরের জঞ্জাল,
তুমি আমি রোজ ভিজব শহর জুড়ে,
ভিজবে যত বস্তির কঙ্কাল।
ওদের জন্যে ভাববেনা তুমি মেঘ?
ওদের জন্য শুধুই জলের ফোঁটা ?
ওদের পেটেতে জমে থাকে খুব খিদে,
আর চোখ বেয়ে নামে যে বিষণ্ণতা ।
আমিও যাবো, ভিজব ওদের সাথে,
স্টোর রুম থেকে নিয়ে ছেঁড়া গেঞ্জিটা,
তুমিও পারলে ভিজতে এসো সাথে,
হাতে হাত ধরে নামুক বৃষ্টি ফোঁটা ।
লেখার সাথে বিষয়ের সামঞ্জস্যতা
ব্যাখ্যায় লেখকের বক্তব্য
নামুক বৃষ্টি ফোঁটা
০৭ মার্চ - ২০১৯
গল্প/কবিতা:
১৯ টি
বিজ্ঞপ্তি
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
-
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
-
তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।
আগামী সংখ্যার বিষয়
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪